নিজস্ব প্রতিবেদন
যথাযগ্য মর্যাদা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯১৩ম জন্মবার্ষিকি উদযাপন করেছ বাংলাদেশের কলকাতাস্থ উপ-হাই কমিশন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল, বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক আর্পণ, বাণীপাঠ, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা ও বিশে্য মোনাজাত।
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পত্নী বেগম মুজিবের জীবন দর্শনের উপর আলোচনা আনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-হাই কমিশনার তৌফিক হাসান।
এর আগে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে কাউন্সেলর শিক্ষা ও ক্রীড়া, রিয়াজুল ইসলাম ও কন্স্যুলার মো: বশির উদ্দিন। আলোচানা সভায় বক্তব্য রাখেন কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক অমল সরকার, উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-২) সানজিদা জেসমিন ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি। আনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-৩) মুহান্মদ সানিউল কাদের।
সন্ধ্যায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বঙ্গমাতার জীবন দর্শনের উপর আলোচনা করতে গিয়ে সাংবাদিক অমল সরকার বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধিনতা যুদ্ধসহ প্রতিটি সংগ্রামে বঙ্গমাতাব অসামান্য অবদান রয়েছে, একজন বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাঁকে আন্দোলন সংগ্রামে ও দেশ পরিচালনায় সময়োচিত অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করেছেন। তাঁর এই অনন্য অবদানের জন্য জাতি তাঁকে বঙ্গমাতার সন্মানে ভূষিত করেছে। অমল সরকার বলেছেন, বাংলাদেশ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীকে বঙ্গমাতা করলেও ভারতের জাতির পিতা মহাত্মাগান্ধীর স্ত্রী-কে আজও সেই মর্যদা দেয়া হয়নি।
সভাপতির বক্তব্যে তৌফিক হাসান বলেছেন, বঙ্গমাতার আদর্শ ও আত্ম ত্যাগের দৃষ্টান্ত যুগে যুগে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।