এম এ রহিম, বেনাপোল থেকে

বেনাপোল সিমান্ত (বাংলাদেশ) : lবাংলাদেশে পেয়াজের চাহিদা মেটানো ও খুঁচরো বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি করা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ২৫০০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ছাড়াও বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এলসির মাধ্যমে ওই  পেয়াজ  আমদানি করছে।

ভারত থেকে প্রচুর পরিমান পেয়াজের আমদানির ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে পেয়াজের দাম অপেক্ষাকৃত কমছে। যা এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। খুচরো বাজারে প্রতিকেজি পেয়াজ বাজারভেদে ২৫ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান ও বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহাসিন মিলন জানান, পেয়াজের ঘাটতি ও মসল্লার বাজরে দাম উর্ধ্বমুখির কারণে  ৩সরা মার্চ২০২২ থেকে পেয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। ফলে দেশের বাজারে পেয়াজের মূল্য ব্যাপক বেড়ে যায়।  আমদনির আগে সেই সময়   ভারতীয় ও বাংলাদেশী প্রতিকেজি পেয়াজ  ৪৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দীর্ঘ দুইমাস পর ৪জলাই ২০২২ থেকে ভারত ফের  বাংলাদেশে পেয়াজ রফতানির অনুমতি দেয় । ফলে ৫জুলই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টিসিবি ১৬২৬টন  পেয়াজ আমদানি করে টিসিবি, ৮৭৬ টন ২১০ কেজি  আমদানি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।  বেনাপোল বন্দর থেকে এসব পেয়াজ যাচেচ্ছ বাংলাদেশের বিভিন্ন মোকামে।

টিসিবি -ঝিনাহদাহ অফিসের- সহকারি পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, টিসিবির আমদনি করা ১৬শ ২৬টন পেয়াজ  টিসিবির-১২টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিকেজি ২০টাকাদরে বিক্রি করা হবে। আগামী ১আগস্ট থেকে ১৪আগস্টের মধ্যে টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে একযোগে বিক্রি শুরু হবে।

বেনাপোল বন্দরের  ট্রাফিক পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে টিসিবি ও বেসরকারি পর্যায়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাঁচামাল হিসাবে পেয়াজের চালান খালাস প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩৫-৩৬ লাখ টন। সে ক্ষেত্রে উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন।  বাংলাদেশ কৃষি বিভাগ  পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে  বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলনও আশাতিত হচ্ছে, কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে ২০শতাংশ পেয়াজ  নষ্ট হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে চাহিদা  মেটাতে পেঁয়াজের সিংহভাগ  ভারত থেকে আমদনি করা হয়।

২০২১-২২অর্থবছরে পাঁচ লাখ টনেরও অধিক পেঁয়াজ আমদানি করা হয। দেশের বাজারে পেয়াজের দাম আরো কমার আশা ব্যাবসায়িদের। পেয়াজ মরিচ গম ও চাউল উৎপাদন বাড়াতে ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে সকারের কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল।