প্রণব ভট্রাচার্য্য
পদ্মার ইলিশ বলে কথা। স্বাদই আলাদা। বাংলাদেশের ইলিশ-র প্রচুর চাহিদা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।পূজোর আগে ওপার বাংলার ইলিশের চালান বাজারে ঢুঁকেছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় যোগান কম।দাম অনেক। পর পর যোগান বাড়লে দাম কমতো।
তবুও পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতার ভোজন রসিক বাঙালি মুখিয়ে থাকেন কবে পদ্মার রূপালি শস্য পাতে পড়বে। তাই দুর্গা পূজার প্রায় মাসখানেক আগে স্থানীয় বাজারে বাংলাদেশি ইলিশ ঢোকায় একদিকে ক্রেতারা যেমন খুশি তেমনি ব্যবসা কিছুটা ভালো হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরাও। গত তিন বছরের মত এবারও পুজোর আগে বাংলাদেশের ইলিশ ঢুকেছে পশ্চিবঙ্গে।
গত সোমবার(৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইলিশের প্রথম চালানটি বেনাপোল আন্তর্জাতিক স্থল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে দুটি ট্রাকে এসেছে ১৬ মেট্রিক টন ইলিশ। ইলিশের ওজন ৭০০ গ্রাম থেকে দেড়-দুই কেজি পর্যন্ত। রাতেই সেই ইলিশ সড়ক পথে পৌঁছে যায় রাজ্যের বিভিন্ন পাইকারি মাছের আরতে, আরত থেকে সোজা বাজারগুলোতে। এরমধ্যে কলকাতা সংলগ্ন হাওড়ার পাইকারি মাছের আড়তে সাড়ে ছয় মেট্রিক টন মাছ ঢুকেছে।
মঙ্গলবার সকাল হতেই হাওড়া পাইকারি ফিশ মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়, ছোট ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১০০০ থেকে ১১০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হয়। মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই এই মাছ স্থানীয় খুচরো ও ছোট বাজারগুলিতে বিক্রি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে খুচরো বাজারে কেজি প্রতি মাছের দাম হতে পারে দেড় হাজার রুপি।
প্রতিদিন ভোরেই দমদমের অমৃত বাজার থেকে পাইকারি মাছ বাজারে মাছ কিনতে আসেন খুচরো মাছ বিক্রেতা সৌভিক রায়। এদিন ভোরেও তিনি যথারীতি চলে আসেন দম দম মাকের্টে। কিন্তু বাংলাদেশের ইলিশ ঢোকার খবর পেয়ে আর অন্য কোন মাছ কেনেননি তিনি।দাম বেশী হলেও বাংলাদেশের ইলিশ তার খুব পছন্দের তাই দাম কোন তার কাছে ফ্যাক্টর নয়।
তিনি আরো জানান ‘বাঙালি এই মাছ খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। ফলে সবসময় এর চাহিদা বেশি।