এম এ রহিম, বাংলাদেশ থেকে
চাকুরীর প্রলোভন ও মিথ্যা আশ্বসের উপর ভিত্তি করে ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশের ২৪ নারী ও পুরূষকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
দীর্ঘ সাত বছর নানা কষ্ট ও জেল খাটার পর দেশে ফেরে তারা। ফেরত আসা বাংলাদেশী নাগরিকরা যশোর, খুলনা, চুয়াডাজ্ঞা, সাতক্ষিরা, কক্সবাজার ও চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলার অধিবাসী। মঙ্গলবার সন্ধায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ‘বিশেষ ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে’বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। এর মধ্যে ১৪জন নারী ও ১০জন পুরুষ রয়েছে। তাদের বয়স ১৬থেকে ২৮বছরএদের হস্তান্তরের সময় কলিকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলার এসএম আলমাস হুসাইন,,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)-ফারজানা ইসলাম, ভারতের আর আর আই ট্রাস্টের পরিচালক মধুমিতা হালদার-সহ বিজিবি সদস্য ও ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্তিত ছিলেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন জানান,২থেকে ৭বছর আগে তারা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যায় ভারতে। সেখানে অবৈধ প্রবেশের দায়ে পুলিশের হাতে আটক হয় তারা। পরে ভারতের সংলাপ ধ্রুব আশ্রম ও স্বপ্না-কিশোলয়ে ঠাঁই হয় তাদের। দু দেশের হাই কমিশন ও সংশ্লিষ্ট দফতরের সহযোগিতায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরানো হয় তাদের। বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে সংশ্লিষ্ট পোর্ট থানায় প্রেরণ করেন। ফেরত আসা বাংলাদেশী নাগরিকদের তিনটি এনজিওর মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রোগ্রাম অফিসার রেখা বিশ্বাস ও রাইট যশোরে-র প্রোগ্রাম অফিসার মোহিত কুমার।
নিজ দেশে ফিরতে পেরে বাংলাদেশী নারী-পুরূষ ভিষণ খুশি ও আনন্দিত বলে জানায় তারা।