ভিওসি নিউজ ডেক্স
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে বলে আভাস দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সচিব মোমেন বলেন“আমাদের কাছে তিস্তার পানি বণ্টনের ইস্যু আছে যা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী আলোচনার সময় উত্থাপন করবেন। আমাদের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে ৫৪ টি অভিন্ন নদী রয়েছে,” রবিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, গঙ্গার পানি চুক্তি আরেকটি বিষয় যা শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। দীর্ঘ আলোচনার পর ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গার পানি বণ্টন ৩০ বছরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার মেয়াদ ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হবে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সব সময়ই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে। “আমরা সবসময় আলোচনার এজেন্ডায় এটি রেখেছি। এবারও আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন।
বাংলাদেশ বরাবর মনে করে দুই দেশের পানি বণ্টন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হোক, কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে দইদেশ কাজ করতে “মানসিকভাবে একমত”।
পূর্ববর্তী আলোচনার কথা স্মরণ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী চুক্তি শেষ করার জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছেন, যার খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময়, উভয় নেতা নদী দূষণের মতো সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে এবং অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ এবং নদীর নাব্যতা উন্নত করার জন্য কর্মকর্তাদের একসাথে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এ কে আবদুল মোমেন আরও বলেছেন, আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ‘সুবর্ণ অধ্যায়ে’ আরও একটি পালক যুক্ত করবে।
ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।