এম এ রহিম, বেনাপোল
আন্তর্জাতিক কলকাতা-খুলনা চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেসে ট্রেনটিতে রবিবার সকালে বেনাপোল রেলস্টেশন এলাকায় টাস্কফোর্স সদ্স্যরা অভিযান চালিয়ে অবৈধ প্রবেশ ও চোরাচালানী পণ্য দখলে রাখার অভিযোগে তিনজনকে পাকরাও করে এবং পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জেল ও জরিমানা করে। এ সময় যৌথবাহিনী তাদের কাছ থেকে নিষিদ্ধ মদসহ বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় প্রসাধনী মালামাল জব্দ করে।
স্থানীয় উপজেলা নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইসলামের নেতৃত্বে রবিবার সকাল ১০টায় বেনাপোল রেস্টেশনে যৌথবাহিনীর সহয়াতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বমাল তিনজন আপরাধীকে আটক করা হয়।। স্থানীয় কাস্টম প্রতিনিধি, বিজিবি, থানা ও রেল পুলিশ,মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্য ছাড়াও গণমাধ্যম কর্মিরা উপস্তিত ছিলেন।কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বন্ধন রেল বেনাপোল রেলস্টেশনে পৌঁছালে বহিরাগত চোরাচালানীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় রেল ও সে্টেশন চত্তর। এতে কোনঠাসা হয়ে পড়ে সাধারণ যাত্রীরাও। দেখে মনে হয় বন্ধন এক্সপ্রেস ও গোটা স্টেশন চত্তর চোরাচালানীদের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে রুপ নেয়। অভিযান কালে বহিরাগতদের হঠাতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনের সদস্যদের। চোরাকারবারীদের সাথে কতিপয় অসাধু রেল পুলিশ কাস্টমও বিশেষ বাহিনীর গভীর সখ্যতা রয়েছে দির্ঘদিনের। এ কারণেই সশ্লিষ্ট অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা রেলকে চোরাচালানীর বাহণে পরিণত করছে। এর ফলে যাত্রী সাধারণের সীমাহীন দুর্ভোগ দেখা দিলেও তা দেখার দায়ত্বে থাকছেন যারা তারা জেগে ঘুমুচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট -ফারজানা ইসলাম জানান,যাত্রীসেবা নির্বিঘ্ন করতে ও চোরাচালন আর অবৈধ প্রবেশ রুখতে এবং যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য এই ভাবে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
রবিবার রেল স্টেশনে অবৈধ প্রবেশ ও চোরাই পণ্য দখলে নেওয়ার অভিযোগে যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ভবেরবেড় গ্রামের ভোলা মন্ডলের ছেলে আব্দুল নুর ইমনকে ২হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয়। অপর দিকে এক্ই এলাকার সরদার আলীর স্ত্রী তাসলিমা খাতুন এবং খোকন সরদারের ছেলে আলফাজ হোসেনকে ৭ দিনের জেল দন্ডাদেশ দেয়া হয়।। তবে সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেছেন, ওই অভিযানের নামে প্রকৃত অপরাধিদের ধরার নামে সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি করা হয় বেশী । বৈধ পথে নিয়ম অনুযায়ী পণ্য এনেও ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। অপরদিকে কোন নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে কাস্টম রুলস ভেঙ্গে জোরপূর্বক কোটি কোটি টাকার পণ্য ট্রেন থেকে নামিয়ে নিচ্ছেন তারা। প্রতিবাদ করলেই হয়রাণি ও নানা রকম লাঞ্চিত হতে হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণ। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। প্রশাসনিক এই দুর্বৃত্যায়নের প্রতিকার চান দু’ দেশের চলাচলকারী যাত্রীরা। অধিকাংশ যাত্রীরা জানান ট্রেন আরামদায়ক হওয়ায় নিরাপদে আসা-যাওয়া করেন তারা। অভিযানের সময় সবাইকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া জানান আন্তর্জাতিক এ রেলে যা্ত্রীদের নিরাপত্তায় সব ধরণের সহযোগিতা দিচ্ছেন তারা।