দিব্যেন্দু গোস্বামী, বীরভূম প্রতিনিধি
বাগুইআটির জোড়া ছাত্র খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া খুনের ঘটনা ঘটলো ৷ এদিন ইলামবাজার থানার চৌপাহারি জঙ্গল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ছাত্রের নাম সৈয়দ সালাউদ্দিন। অভিযোগ অপহরণ করে ওই ছাত্রকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে ৷
আপহরনের পর পরিবারের দাবী, ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তি পণ চেয়ে অপহরণকারীরা ছাত্রের বাবাকে ফোন করেছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সালাউদ্দিনের বাড়ি বীরভূমের খয়রাশোল থানার আহমদপুর গ্রামে। বর্তমানে বীরভূমের মল্লারপুরে ব্যবসায়িক কাজের জন্য থাকতেন। সৈয়দ সালাউদ্দিনের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলেকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এক সন্দেহভাজনকে আটকও করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, আসানসোলের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশুনা করতেন সৈয়দ সালাউদ্দিন। বন্ধুদের সঙ্গে পিক নিকে যাবে বলে বাড়িতে বলেছিলেন। এরপর শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁর বাবা একটি ফোন পান। তাতে বলা হয়, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ লাগবে ৩০ লক্ষ টাকা। তারপর রবিবার সকালেই তাঁর এই দেহ উদ্ধার হয়।
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। শেখ সলমন নামে এক অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। তিনি মৃতের বন্ধু বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের কাছে দু ঘণ্টার মধ্যে লক্ষাধিক টাকা চেয়ে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ফোন করা হয়। মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশের মোট তিনটি দল তদন্তে নামে। মৃতের ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ অফিসারের দাবি,পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে বলে তাঁরা প্রাথমিক ভাবে অনুমান।বীরভূমের ইলামবাজারে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড! পুলিশের জালে অভিযুক্ত শেখ সলমন,ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেছেন আইজি।