শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর:- গোটা বিশ্ব যখন কোনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চিন্তিত, ঠিক তখনই মেদিনীপুর নতুন ভাবে পথ দেখাল অক্সিজেন পরিষেবা যুক্ত সেফ হোম তৈরি করে।
বেসরকারি উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরে এই জেলা তথা এই রাজ্যে প্রথম এবং একমাত্র নিদর্শন স্বরূপ আজ থেকেই পথ চলা শুরু করল অক্সিজেন পরিষেবা যুক্ত ৪০ শয্যা বিশিষ্ট “সেফ হোম” র।
                   
এই সেফ হোযমটির অনুমতি প্রদান করা হয়েছে জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। এটি অবস্থিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরে। খড়্গপুর কলেজের অব্যবহৃত ছাত্রী নিবাস টিকেই ৪০ শয্যার সেফ হোম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
বুধবার এই সেফ হোমের উদ্বোধন করা হল। আর এই সেফ হোমটির সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ স।দাফন থেকে শুরু করে তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেছেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মধুমিতা বিশ্বাস। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে খড়্গপুরের ১২ টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সহৃদয় চিকিৎসক বৃন্দ এবং খড়্গপুরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
                       
শুধু জেলা নয় সারা রাজ্যে এই নিদর্শন অত্যন্ত বিরল! মেদিনীপুর শহরের কয়েকজন সহৃদয় চিকিৎসকদের আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে খড়্গপুর শহরের ১২ টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই ১২ টি সংস্থার মধ্যে হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান প্রভৃতি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও যুক্ত হয়ে আছে। এককথায় সর্ব ধর্ম-বর্ণের মেলবন্ধনেই যে গড়ে উঠেছে এই সেফ হোম, তা বলাই বাহুল্য!
                       
এই উদ্যোগের প্রশংসা করে জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “অতিমারীর সময়ে এই বিরল মানবিক উদ্যোগের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয় ওনাদের জন্য। খড়্গপুরের মহাকুমাশাসক এবং অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক’এর উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়।