রাজনৈতিক প্রতিবেদক
২৩ জুন ত্রিপুরার দুই কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাপ্ত হচ্ছে ত্রিপুরা। বিধানসভা উপ নির্বাচনের আগে আগরতলায় আক্রান্ত হয়েছে কংগ্রেস নেতা ও প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ। আক্রমণের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরূদ্ধে। সূত্রের খবর, রবিবার প্রচারের পরে তাঁর উপর হামলা করা হয়েছে। । তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুদীপ। চিকিৎসকদের মতে, তিনি এখনও স্থিতিশীল নয়। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, এর আগেও বহু ঘটনায় পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরায় নির্বাচন। তার আগে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত প্রচার করতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলি। সে কারণেই প্রার্থীকে ছাড়াই এই দুদিন প্রচারে বেরোবে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সুদীপ রায় বর্মণের হামলার ঘটনায় তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, ”ত্রিপুরায় কোনও গণতন্ত্র নেই। সেখানে বিজেপি নেতৃত্ব পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছেন। কারণ তারা ভয় পেয়েছে। এখানে বিজেপি হঠাৎ ক্ষমতায় এসে অপশাসন চালিয়ে জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই কখনও তৃণমূল, কখনও কংগ্রেসের মতো বিরোধীদলগুলিকে আক্রমণ করছে।”
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, কুণাল ঘোষের মতো নেতারা রয়েছেন সেখানে।
সোমবার নির্বাচনী প্রচারে আগরতলা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে নেমে বলেছেন, ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করতে নেমেছে। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে হবে বলে দলীয় প্রার্থী ও কর্মীদের উদ্ধুদ্ধ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন বিজেপি বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগেন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ”সিপিএমের সন্ত্রাসকে ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। বর্তমানে সংবাদমাধ্যমও বিজেপির আক্রমণের মুখে। বেকারত্বে ত্রিপুরা এক নম্বরে। ত্রিপুরার বেকারত্বের হার ১৮ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ৪ শতংশ। ১৪৫কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল ত্রিপুরার স্মার্ট সিটির জন্য। কোথায় সেই স্মার্ট সিটি? এক ঘণ্টা বৃষ্টি হলে গলা সমান জল জমে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও বেহাল।”
অভিষেক বলেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত তৃণমূল মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে। লড়াইটা তৃণমূল বনাম বিজেপি নয়, লড়াইটা ত্রিপুরার জনগণ বনাম বিজেপির। ভোটবাক্সে সেই প্রতিফলন দেখাতে হবে।